খেলাধুলা
হা-ডু-ডু, বাঘবকরী, তাস, ফুটবল ও ক্রিকেট । মহিলারা সাধারনত খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত থাকে না । বিরল ক্ষেত্রে তাস লুডু খেলার মাধ্যমে বিনোদন করে থাকে।
লোক সঙ্গীত
হেরোয়া বা বিয়ের গান,ভাওয়াইয়া গান,সত্যপীরের গান,জঙ্গের গান,মহরমের গান বা মর্শিয়া, ইসলামীগান,হুলির গান,জারি গান ইত্যাদি।
লোকগাঁথাঃ পাঁচারী, মানিকপীরের গান, সত্যপীরের পালা, কানা বিশহরির পালা, রাবণ হনুমানের পালা।
লোক ক্রীড়া
পাখি লাল, বাঘবকরী, চৌপাইত, নুকাটুহু, ডেন্ঠা কড়ি, বাট্টা, চোরচুন্নি, বৌচি, এলাটিন বেলাটিন, কুতকুত, কইনা দুলাহা, সাত ঘরের পকতা।
মেয়েলী গান ও সঙ্গীত
হেরোয়া বাবিয়ের গীত, বিবির বেহার গান(মুর্শিয়া),পান সুপারী তুলেদেয়ার গীত(মহরম মাসে বাচ্চার জন্য), কালাই ভাঙ্গার গীত(গায়ে হলুদ), ব্যাঙ কুঠার গান(বৃষ্টির জন্য), জারিগান।
নৃত্য (লোক নৃত্য)
মহরমের শরং খেলা, হুলির নৃত্য, বিষহরি নৃত্য, পালা গানের রাচ, মাদারের নাচ।
লোক নাট্য
চন্দ্রদেবী-মফিজুল ফাতেরা, সাইকেল শোরি-পাম্পার বাউধিয়া, নয়ন শোরি-বোষ্ঠম বাউধিয়া। সমসাময়িক কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত এই সব লোক নাট্য সংলাপ, সঙ্গীত, নৃত্য সহকারে পরিবেশিত হয়। আটোয়ারী উপজেলায় এই জাতীয় লোক নাট্য হুলির গান বা ধামের নামে পরিচিত। তবে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর ১৪-ই আগস্ট তোড়িয়া, মির্জাপুর, রাধানগর, ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে স্থানীয় নাট্যমোদী মানুষের উদ্দেগে নাটক ও যাত্রা পালা প্রতি বছর অভিনীত হয় অভিনীত নাটকের মধ্যে আলোমতি প্রেম কুমার, আলাউদ্দীন হোসেন শাহ, একটি পয়সা, সাজাহান, সিরাজ উদোল্লা, চন্দ্রগুপ্ত, মা-মাটি মানুষ, নূরজাহান প্রভৃতি । এরপর টকোত্তরের স্বাধীনতার পর আটোয়ারী সদরসহ সমগ্র এলাকায় ব্যাপক নাটক ও যাত্রাপালার অভিনয় চর্চা হয়। অভিনীত নাটকের মধ্যে রয়েছে টিপু সুলতান জল্লাদের দরবার, টাকা আনা পাই, দীপ জেলে যাই, সাগর সেচা মানিক, মসনদের মোহ, মেঘে ঢাকা তারা, মীর কাশিম প্রভৃতি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস